টাঙ্গাইলে আজ বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে দুজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতির চরম উত্তেজনার মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি টাঙ্গাইল বাইপাস সড়কের দিকে অগ্রসর হলে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় সংঘর্ষে ২ জন সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।
বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের মেইন রোডে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা চালান। তাঁরা কার্যালয়ের আসবাবপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ভাঙচুর চালান। এ সময় কার্যালয়ে কেউ উপস্থিত ছিল না, তালাবদ্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বেলা তিনটার দিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। শহরের বিভিন্ন সড়কে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে, দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তবে সংঘর্ষের মাত্রা ও পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত রয়েছে।