অফিসে স্বাভাবিক সময়সূচি: জনজীবন ফিরছে স্বাভাবিকতায়
সারা দেশের জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আজ বুধবার থেকে অফিসগুলো স্বাভাবিক সময়সূচিতে চলতে শুরু করেছে।
ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত এসব জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। অন্যান্য জেলাগুলোর ক্ষেত্রে স্থানীয় জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। ধাপে ধাপে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ বেলা ১১টার পর জানানো হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, অফিস স্বাভাবিক সময়সূচিতে চলবে। অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। কারফিউ শিথিল হওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তবে অফিস চলেছে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। পরে সময় বাড়িয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত করা হয়।
গতকাল বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এ কারণে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। বাকি সময় কারফিউ জারি থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনী যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে, তত দ্রুত দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই তাঁরা আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবেন বলে তিনি আশা করেন। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।