শেখ হাসিনা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতার বিচার দাবিতে গোপালগঞ্জে বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে শহরের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিলনায়তনের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সকালেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিলনায়তনের সামনে জমায়েত হন। এরপর বেলা ১১টার দিকে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফিরে এসে একই স্থানে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনা এবং তাঁর সহযোগীদের শাস্তির দাবি জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল খায়ের, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল বান্না, জেলা যুবদলের সভাপতি শেখ রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি ইমরুল হোসেন মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ও সদস্যসচিব মাহামুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। তারেক রহমান সকল নেতা-কর্মীকে সতর্ক করেছেন যে, যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অত্যাচার-নির্যাতন চালানো না যায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।