কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে দৃপ্ত কণ্ঠস্বর ছিলেন তরুণ অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে, সে বিষয়ে তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
সাদিয়া আয়মানের ফেসবুক বার্তা অনুযায়ী, “স্বাধীনতার আনন্দ চারপাশে ভরা। শান্তি ও সুখে ভরা।” শেখ হাসিনার সরকারের পতনকে তিনি একটি নতুন সূচনার সম্ভাবনা হিসেবে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
নির্যাতনের শিকার হয়ে নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটির বাসার ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া সাড়ে ছয় বছরের রিয়া গোপসহ অন্যান্য নিহতের ঘটনা সাদিয়াকে গভীরভাবে দুঃখিত করেছে। তিনি বলেন, “একটি বাচ্চা ছাদে খেলছিল, তার কী দোষ ছিল? শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনকাল এবং কারফিউয়ের মধ্যে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত।”
সাদিয়া শেখ হাসিনার পদত্যাগকে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রধান সাফল্য হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, “যিনি হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছেন। এটি সাধারণ মানুষের বিজয়।”
শেখ হাসিনার পতনের আনন্দের পরও দুর্বৃত্তদের দ্বারা বিভিন্ন স্থাপনা ও ভাস্কর্য ভাঙচুর, সাম্প্রদায়িক হামলা ও লুটপাটের ঘটনা সাদিয়া আয়মানকে বেদনাহত করেছে। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার অর্জন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আনন্দের পাশাপাশি, গণভবনে প্রবেশ করে জিনিসপত্র নিয়ে আসা এবং বঙ্গবন্ধুর মিউজিয়াম পুড়ানোর ঘটনা আমাকে দুঃখিত করেছে। এসব পুনর্নির্মাণ হোক।”
তরুণ অভিনেত্রী সাদিয়া আশাবাদী যে নতুন বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে নতুন একটি বাংলাদেশ গঠনের আশা রয়েছে। আমরা একটি সমন্বিত ও মানবিক সমাজের প্রত্যাশা করি।”