রংপুরের বদরগঞ্জে নিলুফা ইয়াছমিন (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হলেও, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী সহিদার রহমান (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার নিলুফা ইয়াছমিনের বাবা আবদুল মমিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সহিদার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা। সহিদার রহমান বাজারে রাতের পাহারার কাজ শেষে ভোরে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুরের দিকে নিলুফা তাঁকে গরুকে পানি খাওয়াতে বলেন। এতে সহিদার রেগে গিয়ে নিলুফার গলা চেপে ধরেন এবং তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে ঘরে ফেলে রেখে বাইরে চলে যান। পরে ঘরে ফিরে পরিবারের সহায়তায় নিলুফার গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালান।
বদরগঞ্জ থানার পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে। ময়নাতদন্তের পর রিপোর্টে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, নিলুফাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হত্যা মামলার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং সহিদার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, এমন ঘটনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। অনেক আত্মহত্যার ঘটনায় সন্দেহ হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়। আইন অনুযায়ী পুলিশ কাজ করায় হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং অপরাধীরা বিচার আওতায় আসে।
https://slotbet.online/