নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় সহিংস হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হয়। সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে ৩ জন বেসামরিক ও ২ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ সময় আরও ৫০ জন গুলিবিদ্ধ হন।
দুপুর থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী আনন্দ-উল্লাস করতে সোনাইমুড়ী উপজেলা সদরের রাস্তায় নেমে আসেন। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে একটি দল সোনাইমুড়ী থানার দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। উত্তেজিত জনতা থানায় হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
চাটখিলে বিকেল পাঁচটার দিকে একদল বিক্ষোভকারী থানায় হামলা চালায়। থানার ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানার কম্পাউন্ডে থাকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণের একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং জেলা প্রশাসক ওয়ান মাহবুবুর রহমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেন। সোনাইমুড়ী থানায় আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে।
https://slotbet.online/