ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে যুবদলের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গত মঙ্গলবার রাত ও বুধবার দুপুরে পৃথক ঘটনাগুলো ঘটে। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দুটি দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে যুবদল কর্মী জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড দখল করতে গেলে যুবদলের আরেক পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় সুমনের সমর্থকেরা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে তুষার, আবদুল হামিদ, মাহবুব, সুবল চন্দ্র মোদকসহ কয়েকজন যুবদল কর্মী আহত হন এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জসিম উদ্দিন সালটিয়া ইউনিয়নের ষোলহাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করেন, যা উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় যুবদল কর্মী সবুজ আকন্দ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি গফরগাঁও ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, সবুজ আকন্দ মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের কারণে তিনি খুন হন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ জানিয়েছেন, নিহত দুজনই যুবদলের কর্মী ছিলেন। গফরগাঁও উপজেলার রাজনীতি অন্তত পাঁচটি উপদলে বিভক্ত এবং নিজেদের মধ্যে দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষগুলো ঘটেছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা জানান, এসব সংঘর্ষের পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই, বরং এগুলো ব্যক্তিগত ও স্বার্থান্বেষী বিষয় নিয়ে সংঘটিত হয়েছে।