খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল। শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম (৪২) কে গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া এলাকায়, যখন তিনি মোটরসাইকেলে করে ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় ফিরছিলেন।

শেখ রবিউল ইসলাম, যিনি ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এবং পরপর তিনবার শরাফপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন, তাকে রাতে আনুমানিক ১০টার দিকে গুলি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুলির শব্দ শুনে তারা ছুটে আসেন এবং রবিউলকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনক হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রবিউলকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা গেছেন।

রবিউল ইসলাম গতকাল বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সভা শেষে, তিনি আরও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাজারে আড্ডা দেন এবং পরে খুলনায় ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন।

ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক গোবিন্দ ঘোষ জানান, বিকেলে শুরু হওয়া সভা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ হয়। রবিউল সভা শেষে খুলনায় ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।

খুলনার পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো পরিষ্কার নয় এবং তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ঘটনার পরপরই পুলিশ সন্দেহভাজনদের ধরতে কার্যক্রম শুরু করেছে। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে খুলনার স্থানীয় বাসিন্দারা শোকাহত এবং রবিউল ইসলামের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি। ঘটনা এখনো তদন্তাধীন এবং পুলিশ দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

“পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটল তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। সন্দেহভাজনদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।”

“শেখ রবিউল ইসলামের মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দারা শোকাহত। তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে পুরো দেশ।”