যশোরের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সম্প্রতি রাত জেগে পাহারা দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাঠি, বাঁশি ও টর্চলাইট নিয়ে পাহারার কাজ শুরু করেছেন।
গত সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় অর্ধশতাধিক হিন্দু বাড়ি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ধর্মীয় হামলা থেকে রক্ষা পেতে গ্রামগুলোতে রাতভর পাহারার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, যুবক ও তরুণরা দলবেঁধে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও বাড়ির মালিক জানান, হামলাকারীরা নারিকেলবাড়িয়া বাজারের দোকানগুলোতে আক্রমণ করে এবং লুটপাট করে। ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহার বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করা হয়।
মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর রায় জানান, তাঁর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে এবং একটি মন্দিরের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১৭টি গ্রামের মধ্যে ৮টি হিন্দু অধ্যুষিত, যেখানকার বাসিন্দারা রাতে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন।
অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউপির বিভিন্ন গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় বাসিন্দারা দলে ভাগ হয়ে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন। সুন্দলী ইউনিয়নের ১০টি হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দারা রাতে পাহারা দিয়ে গ্রামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
এভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দির ও বাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতভর সতর্ক থাকছেন এবং গ্রামগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখছেন