সারাদেশের ট্রাফিক পুলিশ কর্মবিরতির কারণে যানজটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে যানজটের পরিস্থিতি ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএনসিসি’র স্থানীয় শিক্ষার্থীরা সামনের সারিতে এসে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। তারা গত চার দিন ধরে পালাবদল করে এ দায়িত্ব পালন করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কিছু আনসার সদস্যও। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছেন। এই উদ্যোগের কারণে দীর্ঘদিন পরে শহরের সড়কগুলো যানজটমুক্ত হয়ে উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা ভোর থেকে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ট্রাফিক পুলিশের মতো দায়িত্ব পালন করছে। তারা মুখে বাঁশি নিয়ে সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের বাঁশির সংকেতে যানবাহন থেমে যাচ্ছে এবং সংকেত পেলে চলতে শুরু করছে। তাদের দায়িত্ব পালনের সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি, যা সকলকে অভিভূত করেছে।
এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, কালীগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাজী রফি উদ্দীন এন্ড সন্সের সত্বাধিকারী রাশেদুল আলম রুলু ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী সকলকে ছাতা প্রদান করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
একজন ট্রাক চালক, আব্দুস সবুর জানিয়েছেন, তিনি যশোর থেকে সবজি নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং ক্ষুদে ট্রাফিকদের সংকেতের মাধ্যমে যানবাহন সুন্দরভাবে চলতে পারছে। তাদের ব্যবহারের জন্য কোন অভিযোগ নেই এবং চাঁদাবাজি না থাকায় দূরপাল্লার যানবাহনের খরচও কমেছে।
বিএনসিসি’র সদস্য প্রত্যয় জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সিনিয়র স্কাউট লিডাররা তাদের অভিজ্ঞতা এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন।
উপজেলার বিএনসিসির শিক্ষক শামিম হোসেন জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে বিএনসিসির ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং তারা সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করছে।