গতকাল শুক্রবার ‘গণ–অভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশন’ অনুষ্ঠিত হয়, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে আয়োজিত হয়। এই অধিবেশনে অংশ নেন বাসাবো, খিলগাঁও, মান্ডা, মুগদা, কদমতলা, মাদারটেক, রাজারবাগ, সবুজবাগ, নন্দীপাড়া, মায়াকানন ও আহমদবাগ এলাকার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
অধিবেশনের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালিত হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা কেমন নতুন বাংলাদেশ চান তা তুলে ধরেন। বক্তব্য দেন আন্দোলনে নিহত আশিকুল ইসলামের (১৬) বাবা ফরিদুল ইসলাম।
অধিবেশনে ১০ দফা করণীয় নির্ধারণ করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট এলাকার সবার স্বার্থে প্রণীত হয়েছে। দফাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি কোনো গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি চলবে না।
- ভিন্ন ধর্ম বা জাতির ওপর কোনো হামলা হবে না।
- নারীদের ওপর নির্যাতন বা হয়রানি করা হবে না।
- এলাকায় সন্ত্রাস, লুটপাট কিংবা অস্ত্রের মহড়া চলবে না।
- বাকস্বাধীনতার জন্য কারও ওপর হামলা বা হয়রানি করা যাবে না।
- ভয় দেখিয়ে কাউকে মিছিল বা সমাবেশে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
- পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার বা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন চলবে না।
- রাস্তাঘাট ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- কারও আত্মমর্যাদায় আঘাত করা যাবে না।
- কোনো স্থাপনা বা ভাস্কর্য ভাঙা যাবে না।