• শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

Reporter Name / ৬৬ Time View
Update : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

ডায়াবেটিস একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা সারা জীবনের জন্য কষ্টকর হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটির বেশি, যা গত ৩০ বছরে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ২৬ লাখ এবং ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ৮৪ লাখ।

ডায়াবেটিস সাধারণত লক্ষণহীনভাবে বিকশিত হয় এবং অনেক সময় অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে প্রথমবার শনাক্ত হয়। এই রোগের উপস্থিতি বোঝার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি দেখে যদি কারও অবস্থা সন্দেহজনক মনে হয়, তবে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা করা উচিত।

ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ:

  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও অতিরিক্ত পিপাসা লাগা
  • দুর্বলতা ও ঘোর লাগা
  • খাদ্যের প্রতি অতিরিক্ত ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
  • নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ না করলে রক্তে শর্করার অভাব
  • মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ
  • বিনা কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমে যাওয়া
  • শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া দীর্ঘদিনেও সারতে না পারা
  • চামড়ায় শুষ্কতা, খসখসে ভাব ও চুলকানি
  • মেজাজ খিটখিটে হওয়া ও বিরক্তি অনুভব করা
  • চোখে কম দেখা

ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা:

  • যাদের পরিবারে (মা-বাবা, ভাই-বোন) ডায়াবেটিস রয়েছে
  • যারা নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করেন না এবং অলস জীবনযাপন করেন
  • অন্তঃসত্ত্বা নারী, যাদের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক
  • হার্টের রোগী
  • যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি
  • উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে যাদের
  • স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তি
  • যেসব শিশুর অতিরিক্ত ওজন রয়েছে এবং যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ছিল

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি:

ডায়াবেটিস জীবনব্যাপী একটি কঠিন অবস্থা যা নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে:

  • অন্ধত্বের সম্ভাবনা
  • হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক
  • কিডনি ক্ষতি
  • শরীরের নিম্নাঙ্গ কাটা পড়ার প্রয়োজনীয়তা

এ কারণে ডায়াবেটিস শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। বছরলাভে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত এবং শনাক্ত হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এমনকি যদি উপসর্গগুলি দেখা না যায়, তবুও স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মিত পরীক্ষা দ্বারা এই ঘাতক রোগের প্রভাব কমানো সম্ভব। এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যে আপনি সুস্থ থাকছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।


More News Of This Category
https://slotbet.online/