
রাজধানীর উত্তরা ও বাড্ডা এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তরায় সংঘর্ষে দুজন এবং বাড্ডায় একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ আন্দোলনকারী।
- উত্তরা: সকাল থেকে উত্তরায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হন। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ বলেন, নিহত একজন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। সংঘর্ষে শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের মধ্যে ৩০ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
- বাড্ডা: বাড্ডায় সকাল থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ইস্ট–ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুলাল মাতব্বর নামে এক পথচারী সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। ফরাজী হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন জানান, সংঘর্ষে আহত প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
- উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষে ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং ১০ থেকে ১২ জন চোখে আঘাত পেয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করছেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ করেন, যা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। উত্তরা ও বাড্ডা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে। আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। এতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।