নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদল এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠকে।
বৈঠকটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে জানান যে, বৈঠকে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। বৈঠক শেষে, রাত ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বঙ্গভবন থেকে বের হন, সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে। সেনাবাহিনীর জিপ গাড়িগুলি তাদের সঙ্গী ছিল।
এর আগে, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে। বৈঠকের সময়, এ কে আজাদ, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য, সাংবাদিকদের জানান যে, দেশে চলমান অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কারণে নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। তিনি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কার্যকারিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন, যাতে দেশের অর্থনীতি সচল রাখা সম্ভব হয়।