চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হামলার চেষ্টার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. শহীদ (৩৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত আটটার দিকে একদল লোক মেয়রের বাসায় হামলার চেষ্টা করে। তারা বাসার মূল ফটক ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত মো. শহীদকে নগরের পার্ক ভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শহীদের মা শামসুন্নাহার জানান, তাঁর ছেলের নির্দিষ্ট কোনো পেশা ছিল না এবং তিনি কেন মেয়রের বাসায় গিয়েছিলেন তা তাঁরা জানেন না। এক বছর আগে বিয়ে করা শহীদের স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বহদ্দারহাট এলাকার ওসি জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে সিটি মেয়রের বাসায় একদল লোক হামলার চেষ্টা করে। ওই সময় বাসায় ছিলেন সিটি মেয়র। হামলাকারীরা গুলিও ছোড়ে। তখন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।’
এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় হামলা এবং নগরের লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নগর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনসহ চার নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয় এবং বাসার নিচে থাকা গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।