বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে যাত্রা করে। সূত্র মতে, তাঁরা লন্ডনে আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু লন্ডন সরকার তাঁদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
শেখ হাসিনা এই বছরের ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, এবং ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ নামে পরিচিত হয়, যেখানে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারির নির্বাচনের পর ছয় মাসের মাথায় ছাত্র ও গণবিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, ‘দেশে একটি ক্রান্তিকাল চলছে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশের সব কার্যক্রম চলবে এবং সকল হত্যা ও অন্যায়ের বিচার হবে।’ সেনাপ্রধান জনগণকে শান্তি ও শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধান জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং দ্রুত এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, তবে আওয়ামী লীগের কেউ ছিলেন না।
সেনাপ্রধান আশ্বাস দিয়েছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী সব দাবি পূরণে কাজ করবে। দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সংঘাত ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বিরত থাকতে হবে।’