• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন

যাদুকাটা নদীর বালুমহালে চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর বালুমহালে সম্প্রতি চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশ বুধবার বিকেলে নদীর ঘাগড়া কুরিয়ার পাড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের আয়োজন করেছে যাদুকাটা নদীর বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমবায় সমিতি।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেছেন যে, নদীর বালুমহালে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি ও জুলুম চলছে। সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে তিন গুণ বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য নির্ধারিত টোল ৫ টাকা ২৫ পয়সা হলেও আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। টাকা না দিলে নৌকা ও বাল্কহেড আটকিয়ে রাখা হয় এবং শ্রমিকদের নির্যাতন করা হয়। বক্তারা অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি শহিদ মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সমাজকর্মী সুজন মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ চান মিয়া, ব্যবসায়ী মনজুর আলী, আমীর শাহ, আজিজুর রহমান, খয়রাত মিয়া, বিল্লাল মিয়া প্রমুখ।

এর আগে, গত সোমবার নদীর আনোয়ারপুর এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শনিবার তাহিরপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে টোল আদায় ও অবাধে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, নদী থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা আদায় হচ্ছে এবং ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের তথ্যে জানা গেছে, যাদুকাটা নদীর দুটি বালুমহাল এবছর প্রায় ৪৪ কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা কম। নতুন ইজারাদারদের মধ্যে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইজারামূল্য কমিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, এক ইজারাদার, যিনি স্থানীয় ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, দাবি করেছেন যে তাঁরা প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য ১৫ টাকা টোল নিচ্ছেন এবং সীমানার বাইরে থেকে বা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না।


More News Of This Category
https://slotbet.online/