• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

“অভ্যুত্থানকারীদের হাতে পানি দেওয়ার পরেই নিহত হন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ”

Reporter Name / ৪২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

মঙ্গলবার, মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নিহত ফ্রিল্যান্সার মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘বিক্ষোভকারীদের হাতে পানির বোতল তুলে দিচ্ছিলেন এই ছাত্র, কয়েক মিনিট পরই তিনি মারা যান’। এতে মুগ্ধের জীবন, আন্দোলনের মুহূর্ত এবং তাঁর পরিবারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।

২৫ বছর বয়সী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ আন্দোলনের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিতে পানির বোতল বিতরণ করছিলেন। তাঁর টি-শার্টের হাতা দিয়ে কাঁদানে গ্যাস মুছতে মুছতে তিনি বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করছিলেন। কয়েক মিনিট পরই, ঢাকার তপ্ত দুপুরের একটি গুলির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

মুগ্ধের যমজ ভাই স্নিগ্ধ—মীর মাহবুবুর রহমান—সিএনএনকে জানান, “আমি শুধু তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলাম, আর কাঁদছিলাম।” মুগ্ধের মৃত্যুর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং এটি দেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও ন্যায়বিচার চাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।

মুগ্ধ এবং তাঁর যমজ ভাই স্নিগ্ধ জন্ম থেকেই একসঙ্গে ছিলেন। একসাথে খাওয়া, ঘুমানো, পড়াশোনা—সবকিছুই তাঁরা একসঙ্গে করতেন। মুগ্ধ গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) পড়ছিলেন। স্নিগ্ধ আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর করছেন। দুই ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল ইউরোপে মোটরবাইকে ভ্রমণ করা, এবং তারা এজন্য টাকা জমাচ্ছিলেন।

বর্তমানে, স্নিগ্ধ এবং তাঁদের বড় ভাই দীপ্ত, যাঁর পূর্ণ নাম মীর মাহমুদুর রহমান, মুগ্ধহীন একটি ভবিষ্যতের মুখোমুখি। তারা মুগ্ধের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্রটি রেখেছেন, যা তাঁর গলায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় ছিল। পরিচয়পত্রের রক্ত তাদের জন্য একটি স্মৃতি হিসেবে রয়েছে।

মুগ্ধের মৃত্যুর পর, তাঁর প্রতিবাদ ও সাহসিকতা অনেকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে। স্নিগ্ধ বলেন, “মুগ্ধের কারণে মানুষ প্রতিবাদ করার শক্তি পেয়েছে। সে সব সময় বলত, ‘আমি আমার মা-বাবাকে একদিন গর্বিত করব।’”

একই আন্দোলনে ১৬ জুলাই নিহত আবু সাঈদের মৃত্যু ভিডিওটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়, যা মুগ্ধের মৃত্যুর দুই দিন পর ঘটে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/