ব্যবসায়ী নেতারা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর কাছে সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামায় প্রচুর সময়ক্ষেপণ হচ্ছে, যা শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করছে। একইভাবে, ঢাকা বিমানবন্দরে পণ্য খালাসেও বিলম্বের কারণে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
বিজিএমইএর রাজধানীর উত্তরার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই উদ্বেগ তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি জাভেদ আখতার, বিটিএমএর সহসভাপতি মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেক ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় গাজীপুর, সাভার-আশুলিয়া, ধামরাই, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরের তৈরি পোশাক কারখানাগুলি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। বৈঠকে ঝুট ব্যবসায়ীদের দ্বারা পোশাক শিল্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদ করা হয়। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন যে, ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সন্ত্রাসী গ্যাং স্থানীয় পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে এবং মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি করছে।
মেজর জেনারেল মো. মঈন খান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী শিল্পের উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে এবং সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছে এবং চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে, ফলে অভিযোগের সংখ্যা কমেছে।
এছাড়া, মেজর জেনারেল মো. মঈন খান ঝুট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণকারী সন্ত্রাসী দলের বৃত্তান্ত জানতে বিজিএমইএর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামার দ্রুততা বাড়ানোর জন্য বন্দরের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন।