• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে, পর্যটকরা আবার আসতে শুরু করেছেন

Reporter Name / ৩৯ Time View
Update : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার হওয়ায় পর্যটন শহরটি আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দোকানপাট খুলে গেছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। শহরে পর্যটকদের আগমনও পুনরায় শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার শহরের সড়কগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে দেখা গেছে। তারা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে সাহায্য করেছেন। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজারে মূল্যতালিকা টাঙানো হয়েছে।

শহরের ব্যস্ততম কলাতলী ডলফিন মোড়ে, ছাত্রছাত্রীরা যানবাহন চলাচল সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বড়বাজারে শিক্ষার্থীরা মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন যাতে তারা চাঁদা না নেন এবং মাছ-মাংস, সবজির অতিরিক্ত মূল্য নেন না। তারা জানান, ‘‘আপনারা ছাত্রদের সঙ্গে আছেন, আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীও রয়েছে।’’

বেলা তিনটার দিকে শহরের ঘুমগাছ তলায় কক্সবাজার স্কাউটসের সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন এবং পাশের সড়কের দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন বাজারে মূল্যতালিকা টাঙানো হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় শিক্ষার্থীরা এটি বাস্তবায়ন করেছেন।

তবে, বাজারে মাছের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে। মাছ বিক্রেতা সোহেল আহমদ জানান, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সংকট থাকছে এবং এর জন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

৫ আগস্ট কক্সবাজারে থানায় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ও আসবাব লুটপাট করা হয় এবং কয়েকটি হোটেল এবং দোকানে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার পর শহরের সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

চাঁদাবাজি এবং হামলা বন্ধের দাবিতে গত বুধবার সৈকত সড়কে হোটেলমালিকরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘‘আমরা নিরাপদ পরিবেশ চাই। ৩০ বছরে আমাদের এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। সরকার পতনের পর কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি এসব অপকর্ম চালাচ্ছেন।’’

বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান বলেন, ‘‘বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এসব চাঁদাবাজি ও হামলায় জড়িত নয়। কিছু অপরাধী এসব অপকর্ম করছে। সম্মিলিতভাবে এসব প্রতিরোধ করতে হবে।’’

কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গিয়ে দেখা গেছে, থানার ভেতরে-বাইরে ভাঙচুর ও পোড়ানোর চিহ্ন রয়েছে। থানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন এবং পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কাউকে থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

চকরিয়া, রামু, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া ও ঈদগাঁও থানাতেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ৫ আগস্টের হামলায় শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং অনেক পুলিশ আত্মগোপনে চলে যান।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ‘‘থানা ও পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।’’


More News Of This Category
https://slotbet.online/