বাজার পরিদর্শনের সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, বরং চাঁদাবাজদের চেহারা বদলে গেছে। যারা ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা চাইবে, তাদের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দিন। আমার কাছে তথ্য আছে যে, প্রকাশ্যে না হলেও বর্তমানে চাঁদাবাজি চলছে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “যে বাংলাদেশটি বহু রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে, সেখানে আর চাঁদাবাজি বা সিন্ডিকেটের স্থান হবে না। ১৬ বছর ধরে সরকারের দোসররা বাজারে সিন্ডিকেট চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ ব্যবসায়ীদেরকে পরামর্শ দেন, “আপনারা যারা ব্যবসায়ী, তারা সিন্ডিকেটের কবলে পড়বেন না। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনে ন্যায্য দামে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিন। দেশের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে।”
এদিন সন্ধ্যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ দেবীদ্বারে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির সময় নিহত আবদুর রাজ্জাক ওরফে রুবেলসহ কয়েকজন আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “তাদের ত্যাগ ও সংগ্রাম সার্থক হবে, যদি আমরা দেশের পরিবর্তনের জন্য একসঙ্গে কাজ করি।”
এছাড়া, দেবীদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এই আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।