সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৬ বছর বয়সী আকাশ কুমার সিংহ নামের ওই শিক্ষক, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি এবং ইসলাম ধর্ম ও নারীদের পর্দা বিষয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। স্থানীয় খায়রুল ইসলাম নামের এক যুবকের দায়ের করা মামলার পর, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার স্থানীয় থানা উন্নয়ন কেন্দ্রে আকাশ কুমারকে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি। খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ রাতের দিকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর, খায়রুল ইসলাম নামের এক তরুণ বাদী হয়ে থানায় ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আকাশ কুমার সিংহ বলেন, তিনি কখনোই কোনো ধর্মীয় অবমাননা করেননি। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর ও খায়রুলের মধ্যে কিছু দিন আগে কোচিং সেন্টারের পরিচালনা এবং শিক্ষকতার বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। তারই ফলস্বরূপ খায়রুল পরিকল্পিতভাবে তাঁকে বিপদে ফেলার জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছে। আকাশের মতে, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তিনি কোনো অশালীন মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে, খায়রুল ইসলাম বলেন, “আমরা কয়েকদিন আগে একটি কোচিং সেন্টার শুরু করেছি, এবং ২৮ অক্টোবর আকাশ কুমার সিংহের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তি করার ঘটনা ঘটে। তবে, কোচিং সেন্টারের গণিত পড়ানোর বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না।” তিনি আরও বলেন, আকাশ কুমারের কাছে অশালীন মন্তব্যের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন, এবং কয়েকজন স্থানীয়ের কাছে এসব কথা বলার কথাও বলেছেন।
ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক হাফিজুল ইসলাম জানান, আকাশ কুমারের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে এবং আজ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা এলাকার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হলে, আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
https://slotbet.online/