আইন উপদেষ্টা আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ সংশোধন সংক্রান্ত এই প্রস্তাবটি আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে এবং অনুমোদন পেলে খুব দ্রুত আইনে পরিণত হবে। এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনের কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়।
আইন উপদেষ্টা এদিন বলেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সম্পর্কে নানা সময় মানবাধিকার সংস্থাগুলি এবং সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কিছু অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, বিচার প্রক্রিয়া যাতে বৈশ্বিক এবং দেশীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয় এবং সুবিচার নিশ্চিত করা যায়। এজন্য নানা পক্ষের পরামর্শ নিয়ে একটি শক্তিশালী এবং গ্রহণযোগ্য সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিচারপ্রক্রিয়ার গুরুত্ব এবং যৌক্তিকতা বাড়াবে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপিত হলে এবং এটি অনুমোদিত হলে, সংশোধনীটি খুব শীঘ্রই আইনে পরিণত হবে’। তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবে আদালতকে সরাসরি রাজনৈতিক দলের বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, বরং আদালত যদি মনে করে, তবে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
তবে, এই খসড়ার মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাম উল্লেখ করা হয়নি। আইনি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার চায় যে আদালত যদি মনে করে, তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারে, এবং ওই সুপারিশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নির্বাচন কমিশন হতে পারে। তবে, আদালত কখনোই শাস্তি দেওয়ার সরাসরি ক্ষমতা পাবেন না। সুপারিশটি বাস্তবায়ন নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেছেন, “সংশোধনী প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের বিচারের বিষয়ে একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে, যা আদালতের বিচারিক ক্ষমতা সম্প্রসারণ না করলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করার সুযোগ তৈরি করবে।”
এই সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে উপদেষ্টা পরিষদ, এবং এটি আইনে পরিণত হলে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হতে পারে।