রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের অভ্যন্তরে রাশিয়ার ব্যাংক শাখা খোলার অনুমতি চেয়েছেন, যাতে ঋণের কিস্তির অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। রাশিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী, ঋণের সুদের অর্থ চীনের কোনো ব্যাংকে পাঠিয়ে রাশিয়াকে দেওয়া হবে, কিন্তু বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন রাশিয়া সরাসরি বাংলাদেশে ব্যাংক শাখা খোলার জন্য সরকারের অনুমতির আবেদন করেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার কোনো ব্যাংক যদি নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকে, তবে তার শাখা খোলার বিষয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ঋণের অর্থ যত দ্রুত সম্ভব নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, তবে এটি আন্তর্জাতিক আইন ও শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার এবং এর সুদ পরিশোধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যদিও প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে, তবে ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত। তবে এই ঋণ পরিশোধের জন্য সরকার শর্ত জুড়ে দিয়েছে যে, অর্থ জমা হওয়া স্থানটি আন্তর্জাতিক আইন ও দুই দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে না।
এদিকে, রাশিয়ার ঋণ চুক্তি ও কিস্তির অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে এখনও বাংলাদেশে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ঋণের কিস্তি দু’বার পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছে, যা আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত হতে পারে।