• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

আপিল বিভাগের আদেশের পর কী দাঁড়াল: কোটা আছে কি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদন / ৩৬ Time View
Update : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

  •  চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি এবং আদালতের সাম্প্রতিক আদেশের প্রেক্ষাপটে কোটার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আপিল বিভাগ কোটা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। এর ফলে আপাতত কোটা ব্যবস্থা বহাল নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

 

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বুধবার সকালে এই আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। তবে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি, বরং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে। তখন সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য ছিল।

 

২০২১ সালে কোটা বাতিলের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দেন এবং চূড়ান্ত শুনানির পর ২০২৩ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করেন।

 

রায়ের স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে এবং আপিল বিভাগ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপাতত নিয়োগে কোটা অনুসরণ করতে হবে না। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় না। ছাত্রদের আন্দোলন বন্ধ করতে আহ্বান জানান তিনি।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের মূলত সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছেই কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাইছে। সরকারের কাছ থেকেই তারা সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছেন।

 

কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন, যা হলো সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা সংবিধানে উল্লিখিত আইন পাস করে কোটা সংস্কার করা।

 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী আপাতত কোটা নেই। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর। আইন করলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে সমস্যা হতে পারে, তাই পরিপত্র দিয়েই কাজ করা সম্ভব।


More News Of This Category
https://slotbet.online/