ইসরায়েলের উত্তর গাজায় সামরিক অভিযান এবং অঞ্চল বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল হামাসকে চাপে রাখা এবং যুদ্ধে একটি নতুন মাত্রা যোগ করা। উত্তর গাজাকে অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি, ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বেসামরিক জনগণকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। নেতানিয়াহুর সরকার আশা করছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হামাস নেতাদের চাপে রাখা যাবে এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ সহজ হবে।
এর পেছনে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জিওরা আইলান্দের একটি পরিকল্পনার প্রভাব রয়েছে, যা ‘দ্য জেনারেলস প্ল্যান’ নামে পরিচিত। যদিও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি, কিন্তু এর কিছু অংশ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গাজার এই অবরোধের কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মতে, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হয়নি, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে।
এদিকে, লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনীর চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবস্থানগুলোতে প্রবেশ করে ফটক ভেঙে ফেলে এবং আলো বন্ধ করতে আদেশ দেয়। এই ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক আহ্বান রয়েছে, যেখানে তিনি দক্ষিণ লেবানন থেকে শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধীব্যবস্থা মোতায়েন করতে এবং তা পরিচালনা করতে সেনা পাঠানো হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি সংকটময় এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলের এই অভিযান এবং গাজার অবরোধ ফিলিস্তিনিদের মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে, যা শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
https://slotbet.online/