• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ দোয়ার তাৎপর্য ও পাঠের উপযুক্ত সময়

Reporter Name / ৩৩ Time View
Update : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার’ দোয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠতম দোয়া হিসেবে ইসলামে স্বীকৃত। এই দোয়া পড়া যায় যেকোনো সময়, তবে বিশেষভাবে নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে এটি পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ:

১. নামাজে সেজদা অবস্থায় বা দোয়া করার সময়: এই দোয়া নামাজের সেজদা অবস্থায় বা নামাজ শেষে মুনাজাত করার সময় আল্লাহর কাছে পড়া উত্তম। এটি আল্লাহর কাছ থেকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

২. কঠিন পরিস্থিতি বা বিপদে: যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি বা বিপদের সময় এই দোয়া করা উচিত। এটি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি কামনার জন্য উপযুক্ত দোয়া।

৩. রোগব্যাধি বা শারীরিক কষ্টের সময়: যেমন হাদিসে বর্ণিত আছে, একজন যুবক অসুস্থ হয়ে পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন আখিরাতের শাস্তি দুনিয়াতেই পেতে চান। কিন্তু রাসুল (সা.) তাঁকে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ দোয়া শিখিয়ে দেন, যা দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য শ্রেষ্ঠ দোয়া।

৪. সফর বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর আগে: আল্লাহর সাহায্য ও বরকত কামনায় এই দোয়া পড়া যেতে পারে। এটি জীবনের প্রতিটি কাজে সফলতা ও কল্যাণ কামনার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ দোয়ার অর্থ ও গুরুত্ব

এই দোয়ার অর্থ হলো:

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও, পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১)

এই দোয়ার তিনটি অংশ রয়েছে:

১. দুনিয়ার কল্যাণ: দুনিয়াতে আল্লাহর দয়া ও সাহায্য কামনা করা, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা ও সুখের জন্য প্রয়োজনীয়।

২. আখিরাতের কল্যাণ: পরকালে জান্নাত ও আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা, যা চূড়ান্ত সাফল্য।

৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি: আখিরাতের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর ঘটনা

আনাস (রা.)-এর দোয়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, এই দোয়া অত্যন্ত শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ। যখন তাঁকে বসরার লোকেরা আরও দোয়া করার জন্য অনুরোধ করল, তখন তিনি বারবার ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ দোয়াই পড়লেন। তিনি ব্যাখ্যা করলেন যে, এই একটি দোয়া কবুল হলে দুনিয়া ও আখিরাতের সব প্রয়োজন পূরণ হয়ে যাবে।

এই দোয়াটি ছোট, সহজ এবং সব ধরনের কল্যাণ ও মুক্তির প্রার্থনা হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, যেকোনো সময় এটি পড়া হতে পারে এবং তা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।


More News Of This Category
https://slotbet.online/