ভারতের সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ দলের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দল যে কোনো সংকটের মুখে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার প্রদর্শন করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলের অবস্থা খারাপ হতে থাকলেও, তারা কখনো হাল ছাড়েনি। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য। প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর, শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
এমনকি প্রথম টেস্টে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ঘোষণা করার পরও, বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী হয়েছিল। চেন্নাইয়ে ভারতকে মোকাবিলা করতে গিয়ে, বাংলাদেশকে একই রকম লড়াকু মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে। শান্ত দলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আমরা পাঁচ দিন ভালো খেলতে চাই। আমরা টেস্টের শেষ সেশনে ফল চাই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জয়ী হওয়া।”
ভারতের বিপক্ষে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যেভাবে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, তা স্মরণীয়। চিপকে যদি ভারত টার্নিং উইকেট বানানোর পরিকল্পনা করে, তবে তাদের স্পিন শক্তির বিরুদ্ধে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী, এতে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবং তাইজুল ইসলামের মতো দক্ষ স্পিনার রয়েছেন। কন্ডিশন অনুকূল হলে, তারা সাফল্য অর্জনের সক্ষমতা রাখেন।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ ততটা শক্তিশালী না হলেও, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তারা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেটের মধ্যে সবকটি পেসারদের দখলে ছিল। শান্ত বলেন, “স্পিন ও পেস, দুই বিভাগেই আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের পেসাররা অভিজ্ঞতায় কিছুটা পিছিয়ে, কিন্তু স্পিন আক্রমণে আমরা ভারতীয়দের কাছাকাছি।”
চাপের মুহূর্তে বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করবে। দলের অন্যান্য সদস্যদেরও যথেষ্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শান্ত বলেন, “আমরা দলের একতাকে গুরুত্ব দেব। সাকিব দারুণ ছন্দে আছেন এবং তাঁর প্রতি প্রত্যাশা আগের মতোই থাকবে।”
চেন্নাইয়ের কন্ডিশনের সাথে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা অপরিচিত নন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মূল সদস্যরা এখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে। এসব বিবেচনায়, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের বর্তমান শক্তি ও প্রস্তুতি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।