আজ শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার কালনীগড় গ্রামে স্বর্ণা দাসের পরিবারে সমবেদনা জানাতে গিয়ে নেতারা এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘‘স্বর্ণা দাসের হত্যাকাণ্ডের পর সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার ক্ষেত্রে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তবে এভাবে গুলি করে হত্যা করা চরম মানবতাবিরোধী।’’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক জানান, ‘‘এই হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। গত ১৫ বছরে এটি প্রথমবারের মতো। আমরা আশা করি, ভারত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। যদি না নেয়, তবে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।’’
নেতারা আরও উল্লেখ করেন, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য সীমান্তে মানুষের প্রতি এ ধরনের নির্মমতা দেখা যায় না। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা বন্ধুত্বের কোনো প্রমাণ নয়। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হলেও সীমান্তে তারা শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করছে।’’
আজকের প্রতিনিধিদলে ফরিদুল হক ও প্রীতম দাশের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সংগঠক শাহেদ আহমদ এবং চুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ে স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মদনমোহন দাস, স্কুল শিক্ষক দিবাকর দাসসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
১ সেপ্টেম্বর, স্বর্ণা (১৪) তার মায়ের সঙ্গে কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়, যা ৩ সেপ্টেম্বর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই ঘটনাটি সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ, যা দ্রুত সমাধান দাবি করছে।