ঋণ থেকে মুক্তি পেতে ইসলামে বেশ কিছু দোয়া রয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করা হলে আল্লাহর রহমতে ঋণমুক্তির আশা করা যায়। এসব দোয়া বিশেষত আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার জন্য সুপারিশকৃত। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া উল্লেখ করা হলো:
প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করা যেতে পারে। এই দোয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং পড়তেন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজ্জি ওয়াল কাসলি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা ও দুশ্চিন্তা থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের অত্যাচার থেকে।” (বুখারি ও মুসলিম)
এই দোয়াটি নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া যেতে পারে: আল্লাহুম্মা আকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আঘনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হালাল (জিনিস দ্বারা) যথেষ্ট করুন যা হারাম থেকে মুক্ত করবে এবং আপনি আমাকে আপনার অনুগ্রহে এতটুকু ধনী করুন যাতে আমি আপনার ছাড়া অন্য কারো প্রয়োজন বোধ না করি।” (তিরমিজি)
ফরজ নামাজের পরে এই দোয়াটি পড়া যেতে পারে: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হিমি ওয়াল হাযনি ওয়া মিনাল আজ্জি ওয়াল কাসলি ওয়া মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও বিষাদ থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার কাছে অপারগতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার কাছে ঋণের বোঝা ও মানুষের অত্যাচার থেকে আশ্রয় চাই।” (আবু দাউদ)
সুরা আল-ইখলাস, সুরা আল-ফালাক, সুরা আন-নাস দিনে ৩ বার পড়া: এই সূরাগুলো দিনে ৩ বার করে পড়লে সব ধরনের বিপদ, সংকট ও ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
রাব্বিশ রহলী সাদরী, ওয়া ইয়াস্সিরলী আমরী।
অর্থ: “হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিন এবং আমার কাজে সহজতা দান করুন।” (সূরা ত্বাহা: ২৫-২৬)
এসব দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সতর্কতা অবলম্বন করলে, ইনশাআল্লাহ, ঋণমুক্তি এবং শান্তি লাভ করা সম্ভব হবে।
https://slotbet.online/