ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের দৃশ্যপট আজ ভিন্ন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। রোগীদের স্বজনরা কার্ড ঝুলিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা রোগী ও স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গত শনিবার চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। যদিও ১২ ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়, তবে এখনো হাসপাতালের বহির্বিভাগের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে চালু হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ থেকে সীমিত পরিসরে বহির্বিভাগ চালু হবে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে বর্তমানে সীমিত পরিসরে সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যদিও চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে এখনো নিরাপত্তাহীনতার ভয় রয়েছে।
হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ হোসেইন জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩৭ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। তবে হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে, এবং অনেক রোগীর স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, দেশের সব হাসপাতালেই সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং হাসপাতালে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
https://slotbet.online/