সাতক্ষীরায় ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলামকে নিয়ে পুলিশি নির্যাতন ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী মনিরুজ্জামানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আজাহারুল ইসলাম, যিনি মামা ভাগনে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী, অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ নাসিম ফারুক খান, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা যুবদলের নেতা, তাঁকে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে আজাহারুল ইসলাম তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই পরিস্থিতিতে নাসিম ফারুক খান গোয়েন্দা পুলিশকে দিয়ে তাঁকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান আজাহারুল ইসলামকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। দুইদিন ধরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়। ২৯ মার্চ রাতে সাবেক এসপি কাজী মনিরুজ্জামান, বাবলুর রহমান খান ও নাসিম ফারুক খান তাঁর চোখ বেঁধে ভোমরা কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেকের দুটি বইয়ের ১৩০টি পাতা ছিঁড়ে নেন। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ৩২ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি সোনার গয়না নিয়ে যান।
এছাড়া, মামলার বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, একই রাতে তাঁকে পুনরায় গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে গিয়ে ১৬টি চেকের পাতায় স্বাক্ষর করানো হয় এবং চাঁদার বাকি অংশ না দিলে ডিজঅর্ডার মামলার হুমকি দেন। ৩০ মার্চ সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাদীর আইনজীবী শাহানা ইমরোজ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।