যদিও দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধান ও সবজি বীজ উৎপাদন করে কৃষকদের সাহায্য করছে, মৎস্য খাতের প্রতি তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যবিজ্ঞান, একুয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাছের পোনা উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, “বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাটি কিছুটা শক্ত হলে মাছের পোনা বিতরণের কাজ শুরু করব। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা তৈরির কাজ আমরা শুরু করেছি। তেলাপিয়া ও কার্পজাতীয় অন্যান্য মাছের পোনা বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে, সাবেক বাণিজ্যমেলার মাঠে বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আলু, মরিচ, কিউকারবিটসহ অন্যান্য সবজির চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। তবে বড় পরিসরে কাজের জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, যার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অ্যালামনাইদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগগুলো নিয়েছে। আমরা শিক্ষকরা আমাদের সামর্থ্যানুসারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।”