নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে কাইল্লা ফয়েজ বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সকালে (২৮ আগস্ট) এই বাহিনীর সদস্যদের হাতে একই পরিবারের দুই নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোসাঃ নূর নাহার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ার বাসিন্দা ফয়েজ, আমিনুল হক হইক্কা, আব্দুল ওয়ালি, নাজমা, ফাইছা, শরিফ, বাদশা, ফাহিম ও মুক্তি।
মোসাঃ নূর নাহারের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়েজ ও নাজমা তাকে গালিগালাজ করেন এবং ফাইছা, ফয়েজের ইন্ধনে ও কুপরামর্শে নূর নাহারকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন। এ সময় তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।
মোসাঃ নূর নাহারের ছেলে এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আমিনুল হক হইক্কা ও ফয়েজ ফোনে আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে ডেকে আনেন। তারা নূর নাহারের ছেলেকে মারধর করতে থাকে এবং ধারালো রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেন। ছেলের বউ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মারধর থামাতে গেলে তাকেও আক্রমণ করা হয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। পরে, হামলাকারীরা তাদের বাসা থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কাইল্লা ফয়েজ নামে পরিচিত মোঃ ফয়েজ একসময় ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী রকমত বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং এলাকাবাসীকে নানা ধরনের হয়রানি করেন।
বর্তমানে, ভুক্তভোগী পরিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
https://slotbet.online/