• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

ইনিংস ঘোষণার পরেও হারের দুঃখ: পাকিস্তানের ভাগ্যবিপর্যয় এবং ইতিহাসের অন্য কাহিনীগুলো

Reporter Name / ৬৬ Time View
Update : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট হার অনেককেই হতবাক করেছে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান দল ৬ উইকেট হাতে রেখেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল, আর তার পরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচে হেরে বসেছে তারা। এই ঘটনাটি তাদেরকে টেস্ট ক্রিকেটে এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের অধিকারী করেছে, যেখানে প্রথম ইনিংসে ৬ বা এর কম উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করার পরও টেস্ট হারার তালিকায় পাকিস্তান যোগ হলো তৃতীয় দল হিসেবে।

এবারের ম্যাচে, পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ডাবল সেঞ্চুরি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের মাঝেই ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের উপর চতুর্থ ইনিংসে চাপ সৃষ্টি করা। তবে, বাংলাদেশের জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের দৃঢ় ব্যাটিংয়ের কারণে সেই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে যায়।

এই ঘটনা ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল হলেও প্রথম নয়। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের সাথে অ্যাডিলেডে একই ধরনের একটি ম্যাচে, ইংল্যান্ড পল কলিংউডের ডাবল সেঞ্চুরি ও কেভিন পিটারসেনের ১৫০ রান তুলে ৬ উইকেটে ৫৫১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করে দিয়ে স্মরণীয় একটি জয় তুলে নেয়।

এছাড়া, ১৯৭৬ সালে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটিও উল্লেখযোগ্য। সেদিন, ভারতের অধিনায়ক বিষান সিং বেদি, খেলোয়াড়দের চোট এবং ভয়ানক পিচের কারণে বাধ্য হয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন। পরে ভারতের শেষ পাঁচজন ব্যাটসম্যান চোটের কারণে ব্যাট করতে নামতে না পারায় তাদের ইনিংস শেষ হয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহজেই সেই ম্যাচ জিতে নেয়।

এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, টেস্ট ক্রিকেটে ইনিংস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত যতই কৌশলগত হোক না কেন, কখনো কখনো এটি বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানের মতো বড় দলগুলোর জন্য, এমন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাদের অতীত অভিজ্ঞতাগুলোকে মাথায় রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুল পুনরাবৃত্তি না ঘটে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/