বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরও ত্রাণ কার্যক্রম ও সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আকস্মিক বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা প্রভাবিত করে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। বন্যার পানি চলে গেলেও দুর্গত এলাকার মানুষ সহসা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন না। স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অন্যান্য সমস্যার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি:
- নিরাপদ পানি ও খাবার: বন্যায় ভিজে যাওয়া পানিতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যার ফলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ও জন্ডিসের মতো রোগ ছড়াতে পারে। তাই নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ফিটকিরি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো যেতে পারে।
- মৌলিক ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী: বন্যাপরবর্তী সময়ে ওরস্যালাইন জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, প্যারাসিটামল, গজ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয়। স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে, প্রয়োজনীয় ঔষধের তালিকা জেনে সেগুলো পাঠানো উচিত।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণ: বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড়, বাসনকোসন, ঘরের মেঝে ও অন্যান্য জিনিস পরিষ্কার করার জন্য প্রচুর সাবান, ডিটারজেন্ট ও ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন হয়।
- নারী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী: নারীস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী প্রয়োজন। শিশুদের জন্য উপযোগী খাবার, দুধের বোতল, পোশাক ইত্যাদিও সহায়তাকারী হতে পারে।
- খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ: বন্যা পরবর্তী সময়ে রান্নার উপকরণ ও বাজারের অভাব দেখা দিতে পারে। তাই চাল, ডাল, গুঁড়া দুধ, মসলা ইত্যাদি খাবারের জিনিস পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া, স্থানীয় মানুষের পোষা প্রাণীদের খাবারেরও প্রয়োজন হতে পারে।
বন্যা পরবর্তী সময়ে সহায়তা প্রদান করতে গিয়ে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সহজ হবে। সহায়তা পাঠানোর আগে পরিস্থিতি যাচাই করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত করা উচিত, যাতে সহায়তা কার্যকরভাবে পৌঁছায়।