মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই সমাবেশে শফিকুর রহমান দাবি করেন, আওয়ামী লীগ কথিত জঙ্গিবাদকে বিরোধী দল দমনের একটি প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তাঁর মতে, এই অপরাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে যেখানে দুর্নীতি, অপরাধ, এবং সরকারি স্বেচ্ছাচারিতা ছড়িয়ে পড়েছে।
শফিকুর রহমান এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকারকে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফলস্বরূপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন যে, এই জরুরি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিল এবং নির্বাচনের কথা বলে ক্ষমতা দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী করেছিল। কিন্তু পরে তাদের নিজস্ব দুর্নীতি বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে দেশকে দুর্নীতির কুণ্ডলিতে ঘেরা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, “এফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় এসে দেশপ্রেমী শক্তিকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। তারা বিভিন্ন জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছে এবং সাধারণ জনগণকে নির্যাতন করে এক অপরাধময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।” তাঁর মতে, সরকারের বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে দেশকে একটি ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বিশেষভাবে ছাত্র আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য সরকার হত্যা, সন্ত্রাস, এবং নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে।” তিনি দাবি করেন যে, শত শত শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হয়েছেন এবং প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী অন্ধত্ব বরণ করেছেন।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার পক্ষপাতী। তিনি সকলকে আহ্বান জানান যে, “আমরা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রনির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশি। তাই আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করা চলবে না। কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না।”
সমাবেশে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে সাবেক সচিব মো. জাকির হোসেন আকন্দ, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, বিএনপির নেতৃবৃন্দ, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সমাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা জামায়াতের অবস্থান এবং সমালোচনার সাথে একমত পোষণ করেছেন।