ত্রাণ পেয়ে সালেহার চোখেমুখে আনন্দ ফুটে ওঠে। তিনি জানান, “চার দিন ধরে বন্যার পানির জন্য ঘরবাড়ির ভেতর আটকে ছিলাম। উডানের ওপর পানি ছিল, ঘরের ভিতরে পানি। ঘরে যা কিছু ছিল, সব শেষ হয়ে গেছে। চিন্তায় ছিলাম কী করব। এখন যে খাবার পেয়েছি, তা দিয়ে দুই-তিন দিন চলতে পারব।”
নবগ্রাম এলাকায় সালেহা বেগম ছাড়াও ফাতেমা আক্তার, রোজিনা আক্তার, ইমরান হোসেন, নাজমা আক্তার, বেলাল হোসেন ও আমিন বাজার এলাকার হোসনে আরা বেগমসহ আরও কয়েকজন ত্রাণ পেয়েছেন। একই দিনে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামে ৫০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা, যদিও পানির স্রোতের কারণে তাদের পৌঁছানো সীমিত ছিল।
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং বন্ধুসভার সহায়তায় এই ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত আইডিএলসি ফাইন্যান্স ৫ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ৩ লাখ টাকা, একটি অজ্ঞাতনামা দাতা ১ লাখ টাকা, এবং বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৯৫ টাকা জমা হয়েছে। এ ছাড়াও ফেনীতে ৩ লাখ, নোয়াখালীতে ২ লাখ, কুমিল্লাতে ৩ লাখ ও ফটিকছড়িতে ২ লাখ টাকার ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সৌজন্যে এক হাজার প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং সানকুইক ব্র্যান্ডের সৌজন্যে দুই হাজার বোতলজাত ফলের জুস বিতরণ করা হবে।
বন্ধুসভার সদস্যদের নিজস্ব অনুদান এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আরও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাব্বির রহমান তানিম ৫০ হাজার টাকা, বন্ধুসভার পৃষ্ঠপোষক আনিসুল হক ৫০ হাজার টাকা, এবং আইসিডিডিআরবি’র একটি ইউনিট ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে তানজিম মুনিয়তসহ আরও কয়েকজন খাবার, মোমবাতি ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আপনিও বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন। অনুদানের জন্য:
হিসাবের নাম: ত্রাণ তহবিল। হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমে অনুদান পাঠাতে পারেন।