সমাবেশে আন্দালিব রহমান উল্লেখ করেন, “এই দীর্ঘ সময়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ওপরে এমনভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে যে, মানুষ সাধারণভাবে নিশ্বাস নিতে পারছিল না। প্রতিটি আন্দোলন ও প্রতিবাদকে তারা রাজাকার ও জামায়াতের সঙ্গে তুলনা করেছে, এমনকি কোমলমতি শিশুদের সঙ্গেও এক রকম আচরণ করেছে। এর ফলে জনগণ তাদের শাসনের অধীনে সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মুক্তির জন্য ছাত্রদের রক্তের মূল্য দিয়ে আমরা একটি নতুন শাসন পেয়েছি। সেই কারণে আমাদের কর্মপরিকল্পনাতে শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মানিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যেন কারো প্রতি অত্যাচারী হয়ে না উঠি এবং অসহায় মানুষের প্রতি সম্মান ও দয়া প্রদর্শন করি।”
আন্দালিব রহমান সরকারকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে মানুষ যে জুলুমের শিকার হয়েছে, ৩০০ আসনের প্রতিটি প্রতিনিধি ছিল স্বৈরাচারী। তাদের দ্বারা যতটা অপকর্ম করা হয়েছে, তার একটি তালিকা গঠন করাও কষ্টকর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন কেবলমাত্র আমাদের বা ছাত্রদের করা হয়নি; এটি আল্লাহর ইচ্ছা ছিল। আল্লাহ বলেছেন, অহংকারে চ্যাচল হওয়া একটি জাতির পতন অনিবার্য।”
তিনি নতুন সরকারের প্রশংসা করে বলেন, “ড. ইউনূসের সরকার এসেছে এবং আমরা এই সরকারের পাশে আছি। সরকারকে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য যথাসময় দিতে আমরা প্রস্তুত, তবে স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
বক্তৃতায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাছিন বিল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।