• রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে বন্যার কারণ হিসেবে ভারতের ত্রিপুরার বাঁধের পানি ছাড়ার অভিযোগ অস্বীকার

Reporter Name / ৩৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলার গোমতী নদীর ওপর অবস্থিত ডুম্বুর বাঁধের পানি ছাড়াকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করেছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানাতে চাই যে, গোমতী নদীর অববাহিকার (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের বন্যার মূল কারণ বাঁধের ভাটির দিকের বিশাল অববাহিকার পানির ঢল।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডুম্বুর বাঁধ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি একটি কম উচ্চতার বাঁধ, যার উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার। এই বাঁধে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়, যা মোট ৪০ মেগাওয়াট।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘গত ২১ আগস্ট থেকে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে পানির চাপ বেড়ে গিয়ে বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অমরপুর পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অংশ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে বন্যাসংক্রান্ত জরুরি তথ্য বাংলাদেশকে প্রদান করা হয়। গতকাল দুপুর ৩টা পর্যন্ত পানির প্রবাহ বৃদ্ধি সম্পর্কে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে যোগাযোগে কিছু বিঘ্ন ঘটে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এও জানায়, ‘ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলিতে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি একটি যৌথ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে। এসব নদীর পানি ব্যবস্থাপনা ও পারস্পরিক উদ্বেগের সমাধানে দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এই বিষয়ে সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


More News Of This Category
https://slotbet.online/