• রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২৬

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া আরেকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. ইমন। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ১৬ জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত গুলি, সংঘর্ষ এবং অন্যান্য সহিংসতায় মোট ৬২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্টের মধ্যে ৩৫৪ জন এবং ৫ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর তথ্য বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিহতদের স্বজনদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংগৃহীত।

এ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের আহ্বান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ফলে এসব ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ওই প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এবং ১৬ আগস্ট জেনেভা থেকে প্রকাশিত হয়।

টাঙ্গাইলের কলেজছাত্র মো. ইমন ৪ আগস্ট বিকেলে গুলিবিদ্ধ হন। সেদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পেটে গুলি লাগে তাঁর। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমনকে বাঁচানো যায়নি।

ইমনের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন উত্তর পাড়ায়। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং পরে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ডিগ্রি কলেজে স্নাতক (পাস কোর্স) ভর্তি হন।

ইমনের চাচাতো ভাই মো. নয়ন জানিয়েছেন, ইমন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বাবাকে হারান। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ইমন টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতেন।

এছাড়া, গত শনিবার ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেক গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিয়াজও মারা যান। রিয়াজ বরিশালের মুলাদী সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

ইমন ও রিয়াজের জানাজা গতকাল দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।


More News Of This Category
https://slotbet.online/