পুলিশ গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো জমা দেয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এখন আদালতে প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানি হবে, এবং যদি আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে, তবে মামলাগুলো আর চলবে না।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আবদুল মান্নান মিয়া জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরে হওয়া ২১ মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫টির প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থী হত্যা সংক্রান্ত দুটি মামলার প্রতিবেদন এখনও দেওয়া হয়নি।
গত ১৭ ও ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচির সময় মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আটজন নিহত হন। এ ঘটনার পর পুলিশ ২৩টি মামলা দায়ের করে এবং ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল্লাহ বিন আইয়ুব, চট্টগ্রামের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, বলেন যে মামলার অব্যাহতি পেলে আদালতে হাজিরার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া মামলাগুলোর মধ্যে কোতোয়ালি থানার পাঁচটি, পাঁচলাইশ থানার চারটি, বাকলিয়া ও আকবর শাহ থানার একটি করে দুটি, চান্দগাঁও ও খুলশী থানার দুটি করে চারটি মামলা রয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন, পুলিশের করা খুনের মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবার যদি নতুন করে মামলা করেন, তবে পুলিশ সেই মামলাও গ্রহণ করবে।
এদিকে চান্দগাঁও থানায় আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী তানভীর সিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ সম্প্রতি নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, নগরের তিন কাউন্সিলরসহ প্রায় ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।