সম্প্রতি, পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট সেবায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে, আবার কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কম গতির সমস্যায় পড়ছেন। ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য দিতে পারছে না, এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) চুপ রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগে ও পরে এক্স (সাবেক টুইটার) সাইটটি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়েছিল, যা জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে করা হয়। সম্প্রতি, ব্যবহারকারীরা অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হলে ভিপিএন ব্যবহার করতে হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জানান, পাকিস্তানজুড়ে বার্তা পাঠানো কিংবা ফাইল আপলোড ও ডাউনলোড করতে অত্যন্ত ধীর গতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক সময় এই কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
নেটিজেনদের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকার শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করছে না, বরং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
পিটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (পিটিসিএল) জানায়, মোবাইল ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল, তবে এখন এটি পুনরায় চালু হয়েছে।