এ বছরের জন্য চট্টগ্রামের ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে ২,২৩৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ১,৩৮,৯৩৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মানে হলো, প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৬২টি আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫৭টি, যদিও আসনের সংখ্যা ও মোট আবেদন কিছুটা কমেছে।
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়েও বড় ধরনের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। এখানে গড়ে প্রতি আসনের জন্য ৯৪টি আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২১৬টি আসনের জন্য ২০ হাজার ২৫৯টি আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর একই বিদ্যালয়ে প্রতি আসনের জন্য ৮১টি আবেদন জমা পড়েছিল।
অন্যদিকে, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২৬৮টি আসনের জন্য ১৫ হাজার ৪টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ২১৭টি আসনের জন্য ১০ হাজার ৩৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২১৮টি আসনের জন্য ৯ হাজার ১২২টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ১১০টি আসনের জন্য ৭ হাজার ৭৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
বালিকা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে গড়ে প্রতি আসনের জন্য ৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে। এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং নবম শ্রেণিতে ২১৭টি আসনের জন্য ১৮ হাজার ৪৩২টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৩২৪টি আসনের জন্য ১৯ হাজার ৫৩৫টি আবেদন জমা পড়েছে।
এই বছর শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পেরেছে। ভর্তি প্রক্রিয়ার পর জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হবে। এ বছর লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় নির্ধারণ করা হবে, যা কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।