• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে দুঃখ প্রকাশ আয়োজকদের, জানা গেল যা

Reporter Name / ৪৬ Time View
Update : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ সম্পাদনের জন্য একটি বিশেষ আইন চালু করা হয়েছিল, যা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও চুক্তির বৈধতা নিশ্চিত করত। সম্প্রতি, সরকার এই আইনটি বাতিল করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে নতুন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে, এর আওতায় সম্পাদিত চুক্তি ও কার্যক্রমগুলো অব্যাহত থাকবে। এই আইনটি বিশেষত রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়ক ছিল, কিন্তু এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘমেয়াদে এই আইন দিয়ে নেওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে বিতর্ক ছিল এবং পিডিবির আর্থিক ক্ষতি বৃদ্ধি পায়। এখন, সরকার নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এক কনসার্ট ছিল আঘাত ও বিতর্কের মিশ্রণ। পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম তাঁর কনসার্টে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গান পরিবেশন করেছেন, যদিও এর আগে আয়োজকদের দ্বারা দেওয়া সময় ছিল মাত্র ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। কনসার্টটি আয়োজন করা হয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে, তবে অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা যায়, যার ফলে উপস্থিত দর্শকরা অসন্তুষ্ট হন। সেখানকার পরিবেশ ছিল বিশৃঙ্খল, টিকিট কেটে দর্শকরা ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারেননি এবং সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান, ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন, এই ভুলত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও ভাল আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। যদিও অনুষ্ঠানটির পরিবেশনা আকর্ষণীয় ছিল, তা সত্ত্বেও নানা ধরনের সমস্যা, যেমন বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি, অনুষ্ঠানটির প্রতি দর্শকদের মুগ্ধতা কমিয়ে দেয়।

আতিফ আসলাম কনসার্টে তার জনপ্রিয় গানগুলি পরিবেশন করেন, যার মধ্যে ছিল ‘তু চাহিয়ে’, ‘জিনা জিনা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’, ‘ম্যায় তেনু সামজাওয়ান কি’, ‘মেরে পিয়া ঘার আয়া’, এবং আরও অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান। গানের পাশাপাশি তিনি দর্শকদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্টও করেন, প্ল্যাকার্ডে স্বাক্ষর করেন এবং গিটার বাজিয়ে পরিবেশন করেন। দর্শকদের আবদারে, আতিফ আরও ৪০ মিনিট গান গেয়ে অনুষ্ঠানে মুগ্ধতা আরও বাড়ান।

বাংলাদেশে আতিফ আসলামকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল প্রবল। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বলে অভিহিত করেন এবং দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান এবং ব্যান্ড কাকতালও পারফর্ম করেছেন, তবে তাদের পরিবেশনা সম্পর্কে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল mixed, যার মধ্যে কিছুটা প্রশংসা এবং কিছুটা হতাশাও ছিল।

এভাবে, এই কনসার্টটি সঙ্গীতের মোহনীয় পরিবেশনার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে ওঠে এক অভাবনীয় অব্যবস্থাপনার উদাহরণ।


More News Of This Category
https://slotbet.online/