পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তিন আসামি মো. রুনু মিয়া (টেম্পু মঈন), রাসেল আহমদ এবং জাকিরকে সিলেটের আদালতে আনা হচ্ছিল। আদালতের সামনে তাদের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পরপরই একদল ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা করে। আসামিদের মাথা এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে চড়-থাপ্পড়, কিল, লাথি ও জুতাপেটা করা হয়। হামলার মধ্যে পুলিশ চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে হামলায় তিন আসামিই আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, আহত আসামিদের মধ্যে রুনু মিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি, রাসেল আহমদ ও জাকিরকে চিকিৎসার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত হয় গত সোমবার রাতে, যখন বিলাল আহমদ মুন্সী নামক যুবদল কর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। নিহত বিলাল ছিলেন সিলেটের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্য এবং পেশায় রংমিস্ত্রি। হত্যাকাণ্ডের পর সিলেটের স্থানীয় বিএনপি এবং যুবদল নেতারা অভিযোগ করেন, বিলালকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হত্যা করেছেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডে সিলেটের আওয়ামী লীগ কর্মীদেরও নাম জড়িয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বিলালের ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর নরসিংদী পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে, পরে তাদের সিলেট আদালতে তোলা হয়।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার আসামিরা স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচিত। তবে মামলার বাদী দাবি করেছেন, আসামির মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা রয়েছে, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।