বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) হত্যার ঘটনায় তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ১০ নভেম্বর ঘটনার পর পুলিশের তদন্তের মুখে আটক থাকা সাদ বুধবার বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পায়। মুক্তির পর তিনি দাবি করেন, "র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়নি। মাকে হত্যার বিষয়ে আমি কিছুই বলিনি।"
বুধবার সন্ধ্যার পর সাদ কারাগার থেকে বের হন, এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব। মুক্তির পর সাদ ফোনে বলেন, “র্যাব যেভাবে দাবি করেছে, আমি হত্যার কথা স্বীকার করেছি, সেটা পুরোপুরি মিথ্যা। কেন তারা এমন কথা বলেছে, সেটা তারা ভালো জানে।”
অন্যদিকে, সাদের বাবা আজিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে বলেন, "স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আমি অত্যন্ত শোকাহত। কিন্তু এত শোকের মধ্যে র্যাব আমার ছোট ছেলেকে আটক করে এবং তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এটা আমাদের জন্য এক অদ্ভুত যন্ত্রণা।"
এ ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার একটি বাড়ির ফ্রিজে সালমার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সালমা, আজিজুর রহমানের স্ত্রী এবং বগুড়ার একটি মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ছিলেন। ঘটনার পর সাদকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তীতে পুলিশ তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস এবং মোসলেম উদ্দিন নামক ভাড়াটে বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করে।
বুধবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ আদালত সাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।