আজ বুধবার চট্টগ্রামের টাইগারপাস মোড়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা সবাই মিলে দেশের সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চাই, তবে ধর্মের নামে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনার কোনো সুযোগ আমরা দেব না।” তিনি আরও বলেন, “আমার ভাই সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
সমাবেশে হাজির হয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি তোলেন এবং বলেন, “এই সংগঠনটি বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টির পেছনে কাজ করছে। আমাদের দেশের মধ্যে এর জন্য কোনো জায়গা থাকবে না।” তিনি আরও জানান, “ভারতের বাইরে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হলে, দেশের মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া অন্য বক্তারা বলেন, “আমরা সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে যদি কেউ সেই শ্রদ্ধাকে দুর্বলতা মনে করে, তাহলে সে কোনোভাবেই পার পাবে না। চট্টগ্রামে ইসকনের স্থান হবে না। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনকে মেনে নেব না।”
সারজিস আলম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, সমাবেশে বলেন, “আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। এবার এমন একটি জঙ্গি সংগঠনকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ সময় আরও বক্তারা দাবি করেন, “যত দ্রুত সম্ভব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তা না হয়, তবে ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না।”
সমাবেশের পরে, প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় অবস্থান নেন এবং তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দেন।