• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

আংশিক রঙিন ক্রিকেট খেলে মিরাজদের বড় হার

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বড় পরাজয়ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে প্রতিবারই কিছু না কিছু অপ্রত্যাশিত পরিণতি দেখা যায়, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। এবারের সিরিজেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল, যেখানে অ্যান্টিগার ম্যাচে বাংলাদেশ ২০১ রানে হেরেছে। কিন্তু শুধু যে হারের দৃষ্টিকোণ থেকে সব কিছু দেখবেন, তা তো ঠিক নয়। বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকেও কিছু ইতিবাচক দিক ছিল।

বেশিরভাগ সময়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল তাদের প্রথম ইনিংসে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে না। তবে এবারের টেস্টে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বাংলাদেশের বোলাররা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল, তাতে দলের কিছুটা আশার আলো ছিল। ২৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা বেশ অস্বস্তিতে ছিল, কিন্তু পরবর্তী অষ্টম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভস এবং কেমার রোচের অবিশ্বাস্য ১৪০ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে, তবে বাংলাদেশের বোলাররা সেই পরিস্থিতিতেও ভাল কসরত করেছেন।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে একমাত্র হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান সংগ্রহের পর তৃতীয় দিন তারা ভালো অবস্থানে ছিল, কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে মিরাজ একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেন। উইকেটের পতন বাধা দেবার পরিবর্তে তিনি ইনিংস ঘোষণা করেন, যাতে করে তার বোলাররা চতুর্থ দিন সকালের টার্নিং কন্ডিশনে উপকৃত হতে পারে। এটি ছিল এক ধরনের সাহসী পদক্ষেপ, যা দলের বোলারদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়।

বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ যে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন, তার জন্য ম্যাচটি আলাদা হয়ে থাকে। তাসকিন ৬৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ১৫২ রানে শেষ হয়ে গেল।

এতকিছুর পরও বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৩৩৪ রান, যা প্রায় অসম্ভবই ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং এমনভাবে ভেঙে পড়েছিল, যেন একটি তাসের ঘর। চতুর্থ দিন শেষে ৩১ ওভারে ১০৭ রান ছিল, এবং পঞ্চম দিনও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশ মাত্র ১৩২ রানে ইনিংস শেষ করে।

এখানে একটি মজার বিষয় হলো, প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ একবারও অলআউট হয়নি, এবং দ্বিতীয় ইনিংসেও শেষ ব্যাটসম্যান শরীফুল ইসলামের আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে তাদের পুরো ইনিংসকে ‘অলআউট’ বলা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলা, বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং ব্যাটিংয়ের সাফল্য সত্ত্বেও, ম্যাচের ফলাফল ছিল ২০১ রানে পরাজয়। এটি এক স্পষ্ট শিক্ষা যে টেস্ট ক্রিকেটে শুধুমাত্র আংশিক পরিশ্রম করে ফল পাওয়া সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ সমন্বিত ও একসাথে লড়াই করতে হয়, তবেই সাফল্য সম্ভব।


More News Of This Category
https://slotbet.online/