জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা (ইউএন উইমেন) এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নারী ও মেয়েদের ওপর সহিংসতা, বিশেষত ঘরোয়া সহিংসতা, একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে ঘটছে।
প্রতিবেদনটি আরো প্রকাশ করে যে, ঘরেই নারীরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে নারীরা খুন হচ্ছেন, যা তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রকৃত প্রতিফলন। ইউএন উইমেনের উপনির্বাহী প্রধান, নায়ারাদজায়ি গুমবোঞ্জভান্দার বলেন, “এই ধরনের হত্যাকাণ্ড নারী-পুরুষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার প্রতিফলন, এবং এটি সামাজিক কাঠামোর একটি বড় সমস্যা।”
বিশ্বব্যাপী, বিশেষত আফ্রিকায়, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা অনেক বেশি, এবং এর ফলে মৃত্যু সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেশি। ২০২৩ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে ২১ হাজার ৭০০ নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। প্রতি লাখে এই সংখ্যা ২ দশমিক ৯ জন। অন্যদিকে, আমেরিকায় এই হার প্রতি লাখে ১ দশমিক ৬ জন, ওশেনিয়ায় ১ দশমিক ৫ জন, এশিয়ায় দশমিক ৮ জন এবং ইউরোপে দশমিক ৬ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও মেয়েদের হত্যা রোধে এখনও অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে, তবে সঠিক উদ্যোগ এবং সময়মতো পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার এই ভয়াবহ পরিণতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।